শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ নদীপথে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে ফেরার সময় ২৭১ শিশু, নারী ও পুরুষকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। এ ছাড়া কয়েকজনকে স্ব স্ব স্থানে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আর আটকদেরও পর্যায়ক্রমে স্ব স্ব স্থানে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম চলছে।
নৌ পুলিশ সূত্র মঙ্গলবার রাতে জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সম্প্রতি বরিশালকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে জেলার নদীগুলোর সীমানায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বরিশাল জেলায় প্রবেশের মুখে হিজলা উপজেলায় নৌ পুলিশের অভিযানে গত সোমবার ও মঙ্গলবার দুই দিনে ১০০ জনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া মেহেন্দীগঞ্জে নৌ পুলিশের অভিযানে গতকাল রাতে আরও ১৭১ জনকে আটক করা হয়।
হিজলা নৌ পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় মন্ডল বলেন- তাদের আওতাধীন এলাকা থেকে আটক ১২ নারী ও ১২ শিশুসহ ১০০ জনকে হিজলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসীম কুমার সিকদার বুধবার বলেন- নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে লকডাউনে থাকা বরিশাল জেলায় প্রবেশকারীদের তথ্য যাচাই-বাছাই করে স্ব-স্ব স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
অপরদিকে মেহেন্দীগঞ্জ নৌ পুলিশের এসআই মেহেদী জামান বলেন- আটক ৯ নারী ও ৯ শিশুসহ ১৭১ জনকে নিজ নিজ জায়গায় ফেরত পাঠানো হবে।
বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন- বর্তমানে সড়কপথে যাতায়াতে সুবিধা করতে না পেরে কেউ কেউ নৌপথ ব্যবহারের চেষ্টা করছেন। অনেকেই ট্রলারসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন নৌযানে ঝুঁকি নিয়ে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।
বরিশাল-মজুচৌধুরীরহাট রুটের দোয়েল পাখি-১ ও পারিজাত নামের দুটি লঞ্চে মেঘনা নদীর সীমানায় টহল কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি বুধবার বিকেল থেকে এমভি শম্পা নামের আরও একটি লঞ্চের সহায়তায় টহল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন বলেন- বর্তমান পরিস্থিতিতে বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশের ১৩টি ফাঁড়ি, দুটি থানার সব সদস্য তাদের দায়িত্বে নিয়োজিত আছে। এ ছাড়া নদীতে তিনটি বিশেষ দল ভাসমান অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছে। এক কথায় ১৮টি দল সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।
বরিশাল জেলায় আগতদের মধ্যে বেশির ভাগ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের বলে জানান- এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বরিশাল জেলা লকডাউন ঘোষণার পর এখানে যাতে কেউ প্রবেশ বা বের হতে না পারেন, সে জন্য নদীর সীমানাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
৯ এপ্রিল বরিশাল বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত এক সপ্তাহে এই বিভাগে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা হয় ২৩ জন। এর মধ্যে তিনজন মারা যান। আক্রান্ত ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারাণগঞ্জ ও আক্রান্ত এলাকা থেকে গ্রামে ফিরেছিলেন।
Leave a Reply